কার্ল মার্ক্সের তত্ত্বের সমালোচনা


কার্ল মার্ক্সের তত্ত্বের সমালোচনা 

রাষ্ট্র সম্পর্কে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা বিভিন্ন মতবাদ দিয়েছেন। গ্রিক দার্শনিকরা রাষ্ট্রকে নৈতিক লাভের একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখেছেন৷ আদর্শবাদীরা বলেন রাষ্ট্র হচ্ছে আত্মসচেতন চরম নৈতিক সত্তা। কিন্ত আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তার পরিমন্ডলে মার্ক্সসীয় দর্শন এক নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচন করেছে। কার্ল মার্কস এমন একজন দার্শনিক যিনি শোষিত ও নির্যাতিত মানুষের মুক্তির পথ উন্মোচন করেছেন। অধ্যাপক লাস্কি কার্ল মার্ক্স সম্পর্কে বলেন-আজ  পৃথিবীর যেখানেই যাওয়া যায় সেখানেই কার্ল মার্ক্সের রাষ্ট্রচিন্তার দর্শন পাওয়া যায়।

কার্ল মার্ক্সের সংক্ষিপ্ত জীবন: 

১৮১৮ সালের ৫ই মে জার্মানীর ট্রীর শহরে এক ইহুদী পরিবারে কার্ল মার্কস জন্মগ্রহণ করেন। কার্ল মার্ক্সের বাবার নাম হাইনরিখ মার্ক্স।তিনি ছিলেন একজন আইনজীবি। তার মা ছিলেন হল্যান্ডের অধিবাসী।ছোটবেলা থেকে কার্ল মার্ক্স ভালো ছাত্র ছিলেন। জার্মানীর বন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে পড়াশুনা করেছেন এবং পরবর্তীতে দর্শন ও ইতিহাস নিয়েও পড়েছেন৷ তার উল্লেখযোগ্য বইগুলো হল- Das capital, The critique of political economy, the poverty of philosophy। ফ্রেডরিখ এঙ্গেলস এর সঙ্গে লেখা বই “ Communist manifesto” । যার মাধ্যমে মার্ক্সবাদের ভিত্তি গড়ে উঠে৷ কার্ল মার্ক্স দীর্ঘদিন শোষিত মানুষের পক্ষে লেখা চালিয়ে গিয়েছেন। ১৮৮৩ সালের ১৪ই মার্চ কার্ল মার্ক্স মৃতু্যবরণ করেন। 

কার্ল মার্ক্সের তত্ত্বঃ

কার্ল মার্ক্সের ৬টি তত্ত্ব বিশেষভাবে আলোচিত হয়-

১. দ্বন্দ্বমূলক মতবাদ

২. ঐতিহাসিক বস্তুবাদ

৩. শ্রেণিসংগ্রাম তত্ত্ব

৪. উদ্বৃতমূল্যতত্ত্ব

৫. বিপ্লবতত্ত্ব

৬.রাষ্ট্রতত্ত্ব

দ্বন্দ্বমূলক মতবাদ: কার্ল মার্ক্সের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব হল দ্বন্দমূলক বস্তুবাদ। মানব সমাজের উদ্ভব ও বিকাশকে কার্ল মার্ক্স দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের সাহায্যে ব্যাখা করেছেন।দ্বান্দিক মতবাদের মূল কথা হল, কোন কিছুর পরিবর্তন দ্বন্দের মাধ্যমে হয়। কোন কিছুর পরিবর্তন, গতিশীলতা বা নতুন কিছু সৃষ্টির পিছনে রয়েছে থিসিস-এন্টিথিসিসের দ্বন্দ। যেখানে দ্বন্দ থাকে না সেখানে গতিশীলতা, সৃষ্টিশীলতা থাকে না। মানুষের মনোজগতে,পৃথিবীতে, সমাজব্যবস্থায় যে পরিবর্তন সাধিত হয় তার মূল কারণ হচ্ছে দ্বান্দ্বিক পদ্ধতি। 

ঐতিহাসিক বস্তুবাদ:

মার্ক্সের দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হল ঐতিহাসিক বস্তুবাদ৷ কার্ল মার্ক্সের ঐতিহাসিক বস্তুবাদের মূল কথা হল সমাজের উৎপাদন ব্যবস্থার ইতিহাস পর্যালোচনা করা। এই ঐতিহাসিক বস্তুবাদকে নিম্নে ব্যাখা করা হল-

ভিত ও উপরিকাঠামো:

মার্ক্স বলেন অর্থনীতি হল সমাজের মূল ভিত। এই অর্থনীতির উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে রাজনৈতিক ব্যবস্থা, সমাজব্যবস্থা, আইন ব্যবস্থা, ধর্ম, সাহিত্য, কলা ইত্যাদি সামাজিক উপরিকাঠামো।আর এই অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসলে উপরিকাঠামোতে ও পরিবর্তন আসবে। 

মানুষের মৌলিক চাহিদা:

কার্ল মার্ক্স বলেন অন্ন, বস্ত্র,বাসস্থান হচ্ছে মানুষের মৌলিক চাহিদা। মানুষকে বাঁচার জন্য উৎপাদনে অংশগ্রহণ করতে হয়।উৎপাদন পদ্ধতিতে মানব সমাজের মৌলিক পরিবর্তনগুলো ঘটে। উৎপাদন পদ্ধতি হল সবকিছুর মূল চালিকা শক্তি।

উৎপাদন পদ্ধতির দুটি দিক রয়েছে-

উৎপাদন শক্তি: প্রাকৃতিক সম্পদ, শ্রমিক ও তার দক্ষতা এবং যন্ত্রপাতি।

উৎপাদন সম্পর্ক: উৎপাদন ব্যবস্থায় মালিকের সঙ্গে শ্রমিকের, শ্রমিকের সঙ্গে যন্ত্রপাতির সম্পর্ক তৈরী হয়৷ 

সমাজ পরিবর্তনের কারণ:

কার্ল মার্ক্সের মতে, উৎপাদন শক্তি ও উৎপাদন সম্পর্ক এই দুইয়ের মধ্যে দ্বান্দ্বিকতার মধ্য দিয়ে সমাজ পরিবর্তিত হয়। আদী সাম্যবাদী সমাজে উৎপাদনের উপর ব্যক্তিমালিকানা ছিল না।তাই মানুষের সাথে মানুষের শ্রেণিবৈষম্য ছিল না। পরবর্তীতে দাস সমাজে দাস মালিকরা উৎপাদনের উপর ব্যক্তি মালিকানা সৃষ্টি করে৷ এভাবে পরবর্তীতে সামন্ত প্রভু এবং পুঁজিপতিদের কাছে ক্ষমতা চলে আসে আর রাশিয়াতে এভাবেই সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আর উৎপাদন ব্যবস্থায় এভাবেই দ্বন্দ্বের মাধ্যমে সমাজের পরিবর্তন ঘটে থাকে। 

শ্রেণি সংগ্রাম তত্ত্ব:

কার্ল মার্ক্স সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থায় দুটি শ্রেণির কথা বলেন-

১. শাসক বা মালিক শ্রেণি

২. শোষিত বা শ্রমিক শ্রেণি

শাসক ও মালিক শ্রেণিকে রাষ্ট্র বা রাজনৈতিক ব্যবস্থায় এবং শোষিত বা শ্রমিক শ্রেণিকে উৎপাদন ব্যবস্থায় দেখা যায়। মালিক শ্রেণি শ্রমিক শ্রেণির উপর অত্যাচারের কারণে ধীরে ধীরে শ্রমিক শ্রেণি অধিকার সচেতন হয়ে উঠে।এই সচেতনতা থেকে শুরু হয় শ্রেণি দ্বন্দ্ব এবং পরবর্তীতে তা শ্রেণী সংগ্রামে পরিণত হয়। আর এই শ্রেণি সংগ্রামের ফলে শেষ পর্যন্ত উৎপাদন মাধ্যমের মালিকানা শ্রমজীবীদের কাছে চলে যাবে। সর্বহারাদের একনায়কতন্ত্র কায়েম করা মার্ক্সীয় দর্শনের মূল লক্ষ্য নয়৷ রাষ্ট্র থেকে শ্রেণি বৈষম্য দূর করাই মার্ক্সের উদ্দেশ্য। 

৪.উদ্বৃত মূল্যতত্ত্ব: মার্কসীয় দর্শনের কাঠামো উদ্বৃত মূল্যতত্ত্ব ও দ্বন্দমূলক বস্তুবাদ এ দুই স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত। পুঁজিবাদী সমাজ শ্রমিকদের কিভাবে শোষণ করছে মার্ক্স এ তত্ত্বের সাহায্যে ব্যাখা করেছেন। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় কয়েকজন ব্যক্তির হাতে উৎপাদন উপকরণসমূহের মালিকানা থাকে৷ এ পুঁজিবাদীরা মজুরীর বিনিময়ে শ্রমিকদের থেকে তাদের কাজ আদায় করে থাকে। কিন্তু শ্রমিকেরা কোন দ্রব্য উৎপাদনে যে পরিমাণ পরিশ্রম করে সে পরিমাণ মূল্য পায় না৷ উৎপন্ন সামগ্রির বিনিময় মূল্য থেকে যে পরিমাণ মূল্য শ্রমিককে দেয়া হয় না তাই হল উদ্বৃদ মূল্যতত্ত্ব।শ্রমিককে কম মূল্য দিয়ে বেশি খাটিয়ে উদ্বৃত্ত শ্রমের উপর পুঁজিবাদীরা অধিক মুনাফা অর্জন করে৷ আর এই মুনাফাকে বলা হয় উদ্বৃত্ত মূল্য।

বিপ্লবতত্ত্ব: কার্ল মার্ক্সের আরেকটি অন্যতম তত্ত্ব হল বিপ্লবতত্ত্ব।মার্কসবাদীদের মতে জনগণ যখন সামাজিক অবস্থা পরিবর্তনের জন্য ও নিজেদের অবস্থার উন্নতি করার জন্য সংগ্রাম করে তখন তাকে বিপ্লব বলে। এক কথায় শ্রেণি বৈষম্য মূলক সমাজের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের ফলে বিপ্লব দেখা দেয়। কার্ল মার্ক্সের মতে বিপ্লবের ফলে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক শোষণের অবসান ঘটে এবং একটি শোষণমুক্ত সমাজ গঠিত হয়। 

রাষ্ট্রতত্ত্ব: সর্বহারারা বিপ্লবের মাধ্যমে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করলে ভূমি ও পুঁজির মালিকানা রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে আসবে। তখন উৎপাদন ব্যবস্থা ব্যক্তিগত লাভের জন্য পরিচালিত না হয়ে সার্বজনীন মঙ্গলের জন্য পরিচালিত হবে। শ্রেণিবৈষম্য দূর হবে এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তির ভিত্তিতে সমাজে গড়ে উঠা ব্যবধান থাকবে না৷ ফলে রাষ্ট্র যাকে মার্ক্স ‘ শ্রেণিসংগ্রামের অস্ত্র বলেছে সেটি আর থাকবে না।  কারণ শ্রেণিবৈষম্য না থাকলে রাষ্ট্র থাকে না৷ তবে দেশে অভ্যন্তরীণভাবে ধনীক শ্রেণী যেন তৈরী না হয় তার জন্য রাষ্ট্র থাকবে। শ্রেণিবৈষম্যহীন সমাজ তৈরী হলে প্রত্যেকে প্রত্যেকের সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ করবে এবং প্রয়োজনমতো ভোগ করবে৷




কার্ল মার্ক্সের তত্ত্বের সমালোচনা : 

১/ কার্ল মার্ক্সের রচনায় দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ নিয়ে বলা হলেও বিস্তারিতভাবে এটি নিয়ে আলোচনা করা হয় নি। বিরোধ ও সংগ্রাম যতই গুরুত্বপূর্ণ হোক এটিকে আমরা সমাজের পরিবর্তনের প্রধান নিয়ামক হিসেবে গ্রহণ করতে পারি না।

২/ কার্ল মার্ক্সের দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ দৃশ্যমান বস্তুর পরিবর্তনে দেখা যায় না৷ বীজ হতে চারাগাছ এবং চারাগাছ হতে বৃক্ষ আর সবশেষে বৃক্ষ থেকে ফুল ও ফল হয়। বৃক্ষের এই বৃদ্ধির পথে বিরোধিতা দেখা যায় না৷ 

৩/ বস্তুর যেহেতু চেতনা শক্তি নেই। তাই বলা যায় বস্তু পরিবর্তন বাহ্যিক কারণে হয়। 

৪/ কার্ল মার্ক্সের ঐতিহাসিক বস্তুবাদ একটি অসম্পূর্ণ ব্যাখা। কারণ অর্থনীতি ছাড়াও অন্যান্য উৎপাদন যেমন: ধর্ম, ভাষা কিংবা নেতার মাধ্যমে একটি দেশ বা জাতির ইতিহাস পরিবর্তিত হতে পারে। 

৫/ মার্ক্সস মানুষের মনস্তাত্ত্বিক দিকটি বাদ দিয়েছেন। বুদ্ধদেব, যীশুখৃষ্ট ও হযরত মোহাম্মদ(সাঃ)তাদের কার্যাবলীর পিছনে কোন অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না। 

৬/ কার্ল মার্ক্সের আলোচনা ঐতিহাসিক বস্তুবাদের আলোচনায় পড়ে না বরং এটিকে ইতিহাসের অর্থনৈতিক সম্পর্কে ব্যাখা বলা যায়।আর অন্যদিকে অর্থনীতির আলোকে ইতিহাসের ব্যাখা যুক্তিসঙ্গত নয়।

৭/ শোষক ও শাসিতদের চরম সংগ্রামে মার্ক্স আশা করেন যে, শোষিতের বিজয় অবশ্যম্ভাবী কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় শোষকদের অত্যাচার কমেনি৷ 

৮/ মার্ক্সের মতে শ্রেণিবিভেদ না থাকলে রাষ্ট্র বিলীন হয়ে যাবে কিন্তু এ ভবিষ্যৎবাণী আসলেই সঠিক হবে কিনা সন্দেহ।

৯/ মার্ক্সের মতে সমাজে ধনী ও গরীব দুটি শ্রেণি রয়েছে৷ কিন্তু সমাজে মধ্যবিত্ত শ্রেণি দেখা যায়। এছাড়াও মার্ক্সের মতে ধনীদের সংখ্যা স্বল্প এবং তারা অবিচ্ছিন্ন ভাবে থাকে কিন্তু বাস্তবে ধনীদের সংখ্যা এত কম নয় তাছাড়া ধনীরা পারস্পরিক সহযোগিতায় লিপ্ত।

১০/ কোন দ্রব্যের মূল্য সৃষ্টির ক্ষেত্রে শ্রম একমাত্র উপাদান নয়৷দ্রব্যের ব্যবহারিক মূল্য সৃষ্টিতে মূলধন,কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি এবং ঘরবাড়ির প্রয়োজন।

১১/ সমাজ পরিবর্তনের জন্য বিপ্লব প্রয়োজন। কিন্তু সংস্কার ও বির্বতনের মাধ্যমে ও সমাজ পরিবর্তিত হয়৷ 

১২/ রাষ্ট্র শুধু শক্তির উপর প্রতিষ্ঠিত একটি শ্রেণিগত প্রতিষ্ঠান নয়।রাষ্ট্র ইচ্ছার উপর প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান৷ রাষ্ট্র একটি নৈতিক প্রতিষ্ঠান।গণতান্তিক রাষ্ট্র মানুষের জন্য মঙ্গল বয়ে নিয়ে আসে তা কার্ল মার্ক্স অস্বীকার করেছেন৷ 

১৩/ রাশিয়াতে শ্রেণিহীন সমাজ প্রতিষ্ঠিত হলেও শাসন ব্যবস্থা কেন্দ্রীয়।রাশিয়ায় মানুষের শাসনের জায়গায় বস্তুর শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় নি৷ 

১৪/ মার্ক্সীয় মতবাদে সমস্ত পৃথিবীতে সাম্যবাদ প্রবর্তনের জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু রুশরা শুধুমাত্র নিজদেশে এই নীতি কার্যকর রাখেন৷ বিশ্বব্যাপী মার্ক্সবাদ নীতির অসুবিধা বুঝতে পেরে জোসেফ স্ট্যালিন এই নীতি পরিহার করেন। 

১৫/ যেসব সমস্যা পুঁজিবাদী সমাজে বিদ্যমান সেসব সমস্যা সমাজতন্ত্রেও হবে মার্কস তা বুঝতে পারে নি৷ 

১৬/ মার্ক্সের তত্ত্ব অনুসারে উন্নত পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলোতে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানী, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সংঘটিত হয় নি। বরঞ্চ রাশিয়া, চীন ও কিউবাতে পুঁজিবাদ সৃষ্টির আগে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সংঘটিত হয়৷ 

১৭/ সমাজ পরিবর্তনে বিপ্লবের উপর অধিক গুরুত্ব দেয় মার্ক্সবাদ। শান্তিপূর্ণভাবে সমাজ পরিবর্তনের পরিবর্তে বিপ্লবের মাধ্যমে রক্তক্ষয়ী আহ্বানকে স্বীকৃতি দেয় মার্কসবাদ৷ কিন্তু পৃথিবীর অনেক বিপ্লবই শান্তিপূর্ণভাবে সংঘটিত হয়েছে এবং সফল হয়েছে। 

উপসংহার: যাইহোক অনেক সমালোচনার পরেও মার্ক্সের মতো প্রভাবশালী চিন্তাবিদ সমাজচিন্তার ইতিহাসে দেখা যায় না৷কার্ল মার্ক্স যেসব নীতিমালা প্রচার করেছেন সেগুলোর মধ্যে ভুল,ভ্রান্তি রয়েছে কিন্তু এসব নীতিমালা তিনি শোষিতদের কল্যাণের কথা চিন্তা করে লিখেছেন। তবে এ কথা সত্য যে মার্ক্সের বাণী পুঁজিবাদীদের কাছে অপ্রিয় হলেও শোষিতদের কাছে বাঁচার বাণী হিসেবে গৃহিত হয়েছে।  


2 Comments

  1. গুরুত্বপূর্ণ টপিক।
    ধন্যবাদ ভাই।

    ReplyDelete
Previous Post Next Post

About Me