গল্পের নাম : বংশধর লেখক: মুনীর চৌধুরী




বুক রিভিউ

গল্পের নাম : বংশধর
লেখক: মুনীর চৌধুরী
গল্পটিতে আমেনা আর আশরাফ হচ্ছে কেন্দ্রীয় চরিত্র। আশরাফ পেশায় একজন সাংবাদিক। বাদরের মতো প্রতিদিন আমেনার বাসায় চলে আসে প্রতিদিন কিছু একটা বলার আশায়। সে কথাটি শুনার দীর্ঘদিনের অপেক্ষায় রয়েছে আমেনা। আমেনার বাবা মা ও সে অপেক্ষায় রয়েছে।
আমেনার বাবা: কি খবর তোমার?
আমেনা মা: আজকে যা হলো? বাসায় যা হলো আজকে?
বাবা: কি হয়েছে খুলে বল?
মা: আমেনা আসুক খুলে বলি?
বাবা: ওর আসা লাগবে না। তুমি বলো।
মা: সবকিছুতে তোমার তাড়াহুড়ো। শুনো আজকে বাসায় বাদর ঢুকে ছিলো।
বাবা: ওই বাদরটা আবার ঢুকেছে। ওর খবরই আছে।
কি হয়েছে তারপর?
মা: আমি আর আমেনা খাচ্ছিলাম। আমেনা ইউনিভার্সিটি থেকে এসেছিল বেশীক্ষণ হয় নি। কে যেনো দরজা টোকাচ্ছিলো। আমি আমিনাকে বললাম খুলে দিতে।
বাবা: বাদর আশরাফ দরজা টোকাচ্ছে আর তুমি দরজা খুলতে আমেনাকে বলছো।
মা: তুমি কথা না শুনেই আগেই বলো কিভাবে? আগে শুনো।
বাবা: বলো।
মা: আমেনা হাসিমুখে খুলেই দেখে একটা কালো মুখো বাদর তাকে ভেংচি দিলো৷ আমেনা চিৎকার করে উঠলো৷
বাবা : কি বলছো আমি তো ভাবছিলাম আশরাফ বাদ রটা এসেছিলো।
মা: তুমি কি করবে আশরাফকে?
বাবা: আরেকবার আসুক ভালো ভাবে ধরবো ও কি
চায়? আমার মেয়েকে বিয়ে করতে দিবো না৷ সাংবাদিকের কাছে বিয়ে দিবো। আমার মেয়েকে ঘরের হাঁড়ি পাতিল মাজতে দিবো না।
একসময় আড়াল থেকে বাবা মায়ের কথা শুনতে থাকা আমেনার উপর জানালা দিয়ে বানর খাবার নিয়ে টানাটানি করে তখন আমেনা চিৎকার করে উঠে। বাবা মা দুজনই সেদিকে ছুটে যায়।
বানরকে মারার জন্য বাবা-মা প্রস্তুত হয়ে থাকে। এমন সময় দরজায় কড়া নাড়লো।
বাবা: লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো আর দরজাটা খুলে দিলো। লাঠিটি আর বাড়ি দিতে নামলো না। দরজা খুলতেই আশরাফ দাঁড়িয়ে রয়েছে।
আশরাফ: মারবেন নাকি আংকেল আমাকে?
বাবা: নাহ্ মারবো না। বানরকে মারবো৷
আশরাফ : আমি তো মানুষ। তবে বানরের বংশধর এ কথা বলে ভিতরে ঢুকলো।
মা: ওইটা তো আমরা সবাই৷
অবশেষে এলাকার দোকানের হাজার টাকার বান্ডিল নিয়ে বানর এলাকায় ঘুরে বেড়িয়ে এলাকায় বিখ্যাত হয়ে গেলো। কোনো নোট বানর নিচে ফেললে সবাই তা নেওয়ার জন্য মারামারি করতে লাগলো।
শেষ পর্যন্ত আমেনার কাছে দীর্ঘদীন ধরে না বলতে পারা কথাটি আশরাফ যখন বলতে যাবে তখন আমেনার বাবা তার হাতে বানরকে ফাঁদে ফেলার দড়ি ধরিয়ে দেয়৷
আশরাফ: এখন চাইলেও আমি তোমার দিকে মনোযোগ দিতে পারছি না।
আমেনা : স্কুল পাশ করলাম, কলেজ পাশ করলাম, ভার্সিটির বি. এ পরীক্ষায় কিছুদিন পর পাশ করে ফেলবো। তুমি এখনও কথাটি বলতে পারলে না।
আশরাফ: আমি আজকে সবকিছু বলবো।বলতে বলতে সে বানরকে ফাঁদে আটকালো।
বাবা: খুব ভালো করেছো(রুমে প্রবেশ করে)। এ জন্যই তোমাকে আমার ভালো লাগে।
আশরাফ : নাস্তা করতে করতে আমেনার বাবা,মা কে বললো। আমি ছোটবেলা থেকে অনেকবার এ বাসায় এসেছি। আমার একটা কথা বলার আছে।
বাবা: আমার এখন কোন কিছু শুনার মুড নেই। তুমি অন্যদিন বলবে।
মা: তুমি আবারও আসবে আগামীকাল বইলো বাবা।
তোমাকে আমরা জানি চিনি।
আশরাফ উঠে চলে গেলো পিছন থেকে বাবা জানালা দিয়ে তাকিয়ে আছে।
আমেনা দরজার সামনে তাকিয়ে রয়েছে....

Post a Comment

Previous Post Next Post

About Me