বইয়ের নাম: টাইম মেশিন
লেখক : এইচ জি ওয়েলস
ক্লাসে স্যার পড়ানোর সময় বলেছেন এ বইটা একটা Dystopian বই। পড়তেও বললেন। সে কারণে বইটা পড়া৷ এ জন্য স্যারের কাছে ঋণী।
গল্পটিতে একজন অভিযাত্রী নতুন আবিষ্কার করা টাইম মেশিনে করে ভবিষ্যতে চলে গেলেন। ভবিষ্যতে যেয়ে প্রথমেই অভিযাত্রী ভাষা নিয়ে বিপদে পড়লেন। আকার ইঙ্গিতে তিনি যোগাযোগ করতে চেষ্টা করতে থাকলেন। সেখানের মানুষরা অভিযাত্রীর পুরোনো, সেকেলে জামা দেখে হাসাহাসি করে। অভিযাত্রীর প্রথম অভিজ্ঞতা হলো এখানের মানুষ মাংস খায় না। মানুষ খায় শুধু ফল। আগের যুগের মানুষরা নাকি এত মাংস খেয়েছে যে মাংস শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই অনিচ্ছাসত্ত্বেও তাকেও খেতে হয়েছে এসব ফল৷লন্ডনের টেমস নদীর পাড়ও অনেক দূরে সরে গিয়েছে। অন্যদিকে সে একটি বিষয় লক্ষ্য করলো এখানকার মানুষ বুড়ো হয় না। আবার এখানে মানুষদের মধ্যে নেই সাহায্য করার মতো ইচ্ছা। তাই তো অভিযাত্রী যখন নদীর ধারে যান সেখানে দেখেন একটি ছোট্ট মেয়ে সাতাঁর কাটার সময় পানিতে ভেসে যাচ্ছে কিন্তু কেউ তাকে সাহায্য করতে আসে না। তখন অভিযাত্রী নিজের কোট ফেলে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে মেয়েটিকে বাঁচায়। এই মেয়েটির নাম উইনা যে তার ভক্ত হয়ে যায়। এ সমাজে কোন ইন্ডাস্ট্রি বা কারখানা নাই।নেই কোন প্রতিযোগিতা।মানুষ শুধু খায়-দায় আর ঘুমায়। তাই তাদের মস্তিষ্ক এত উন্নত নয়। এখানকার মানুষরা কিছুক্ষণ আগে আপনাকে নিয়ে মজা করলো কিছুক্ষণ পর এদের খুঁজেও পাওয়া যায় না। গল্পটিতে অন্য মোড় নিয়েছে যখন অভিযাত্রী জানতে পারে মাটির নিচে আরেক শ্রেনীর হিংস্র মানুষ বাস করে। যাদের খপ্পরে অভিযাত্রী নিজেও পড়েন। এ হিংস্র মানুষগুলো রাতের অন্ধকারে নর-মাংস খায়। অভিযাত্রী উইনাকে হারান এ হিংস্র শ্রেণির মানুষের সাথে মারামারি করতে গিয়ে৷ অভিযাত্রী তার যুগের ব্যবহার করা জিনিসপত্র জাদুঘরে খুঁজে পান। সবশেষে মাটির নিচের বসবাস করা হিংস্র মানুষদের থেকে নিজের টাইম মেশিন কোন মতে উদ্ধার করে অভিযাত্রী আরও ৩০ লক্ষ বছর সামনে চলে যান।৩০ লক্ষ বছর এগিয়ে তিনি নিজেকে আবিষ্কার করেন বসবাসের অযোগ্য একটি পৃথিবীতে। কাঁশতে কাঁশতে অভিযাত্রী দ্রুুত টাইম মেশিনে উঠে তার বর্তমানে চলে আসেন।
বর্তমানে চলে আসার পর কেউ তার কথা বিশ্বাস করতে চাচ্ছিল না। কিছুদিন পর অভিযাত্রী আবার টাইম মেশিনে করে চলে যান নমুনা সংগ্রহ করে আনতে মানুষকে বিশ্বাস করানোর জন্য । ৩ বছর হয়ে গিয়েছে এখনও তিনি ফিরে আসেন নি। হয়তো কোন ঝামেলায় পড়েছেন আসতে চেয়েও আসতে পারছেন না।
Vlog:
বইয়ের নাম: টাইম মেশিন লেখক : এইচ জি ওয়েলস,দ্য টাইম মেশিন,টাইম মেশিন বই pdf,অ্যাডভেঞ্চার বই pdf